Thursday, August 6, 2015

শরীয়তের দৃষ্টিতে কি ধরনে মেয়ে বিয়ে করা উচিত?

প্রশ্ন : শরীয়তের দৃষ্টিতে কি ধরনে মেয়ে বিয়ে করা উচিত?
উওর : ইমাম গাযালী রহঃ বলেন-
দাম্পত্য জীবন স্হায়ী, সফল, সুখী স্বচছন্দ্যময় হয়ার জন্য মেয়ে (স্এী) দের মধ্যে আটটি গুন থাকা আবশ্যক। বিশ্লেষণ নিম্নে দেয়া হলঃ-

১- দ্বীনদারী বা ধার্মিক হওয়া।
লক্ষণীয় আটটি গুনের মধ্যে এটাই অন্যতম এবং এর উপরই সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করা। কারণ স্এ্রী ধর্মীয় দিক থেকে উদাসীন হলে, নিজের সতীত্ব ও সম্ভ্রম রখ্খার খেেএ ও হবে দুর্বল।
রাসুল সঃ এরশাদ করেছেন-
সাধারনত রমণীদের বিবাহ করা হয় তার সম্পদ,সৌন্দর্য, বংশগত মর্যাদা ও তার দ্বীন ধর্মের জন্য। তবে তুমি অবশ্যই দ্বীনদার রমণী বেছে নেবে।তোমার মঈল হবে।( বুখারী)

২- আখলাক তথা চরিএ - মাধুর্য্য ও সু স্বভাবের হওয়া।
রাসুল সঃ এরশাদ করেন- তোমাদের রমণীদের মাঝে সেই উওম, যাকে দেখে স্বামীর মন আনন্দে ভরে উঠে,তাকে কোন আদেশ করলে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে তা পালন করে।আর স্বামীর অনুপস্হিতিতে আপন সম্ভ্রম ও স্বামীর সম্পদ রখ্খা করে। (আবু দাউদ)

৩- রুপ-লাবণ্য বা রুপসী হওয়া।
ইমাম গাযালী রহঃ বলেন- যদি দ্বীনদারীর পাশা পাশি রুপ লাবণ্যকে দেখা হয় তাহলে সেখেেএ খতির আশংকা থাকেনা।বরং এমন রুপ লাবণ্য অধিক কল্যাণ বয়ে আনে।আর শরীয়তের দৃষ্টিতে এমন রুপ লাবণ্যই কাম্য।
(
এহয়াউল উলুম)

৪- মহরানা স্বল্প হওয়া।
রাসুল সঃ এরশাদ করেছেন- "সর্বোওম রমণী সে, যে রুপসী এবং তার মহর স্বল্প"।
তাখরীজে ইরাক্বী-২/৩৬

৫- রমণী অধিক সন্তান প্রসবিনী হওয়া।
রাসুল সঃ ইরশাদ করেছেন-
তোমরা প্রেমময়ী, অধিক সন্তানপ্রসবিনী বিবাহ কর। (আবু দাউদ)
পাএী যদি বিবাহিত না হয় এবং তার বন্দ্ব্যাত্ব সংক্রান্ত কোন কিছু জানা না যায়,সে খেেএ সুস্হ্য ও যুবতি দেখে বিয়ে করা উওম।কেননা সুস্হ ও যুবতি নারীরাই সাধারনতঃঅধিক সন্তান দান করে থাকে।

৬- কুমারী হওয়া।
পাএী নির্বাচনে রমণী কুমারী হওয়াও একটি লখ্খণীয় বিষয়। হযরত যাবের রাঃ বিধবা মহিলা বিবাহ করেছেন জানতে পেরে, রাসুলসঃ তাঁকে বলেছিলেন, তুমি কুমারী নারী বিয়ে করনি কেন? তাহলে তুমি ও তার সাথে প্রণয় প্রমোদ করতে, সে ও তোমার সাথে প্রণয় প্রমোদ করত। ( বোখারী)

৭- ভাল বংশের হওয়া।
পাএীর বংশগত দিক লখ্খ করা খুব প্রয়োজন। অর্থাৎ রমণী ভাল বংশের, ধর্মীয় পরিবারের মেয়ে হওয়া চাই।কেননা খুব শীঘ্রই তার উপর আপন সন্তানদের লালন পালন ও শিখ্খা দীখ্খার দায়িত্ব অর্পিত হবে। এ খেেএ সে নিজেই যদি শিষ্টা, সুশীলা ও মার্জিতা না হয়,তাহলে সে সন্তানদের সঠিক ভাবে লালন পালন করতে ও শিখ্খা দীখ্খা দিতে ব্যর্থ হবে।
রাসুল সঃ এরশাদ করেছেন- "তোমরা তোমাদের পরবর্তী বংশধরদের জন্য উওম (ভাল বংশের)পাএী নির্বাচন কর।কেননা বংশধারা পরবর্তীদের মাঝে ক্রমাগত প্রবাহিত হয়।"
(
আল হাদিস)


৮- রমণী নিকটাত্মীয় না হওয়া।
ইমাম গাযালী রহঃ বলেন- যদি অনাত্মীয়ের গুনাবলী সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে অবগত হওয়া যায় এবং সে অনাত্মীয় গুনাবলীর দিক থেকে আত্মীয়ের সমপর্যায়ে বা তার চেয়ে ভাল হয়; তাহলে উল্লিখিত কারণে অনাত্মীয়কে প্রাধান্য দেয়া ভাল।

[
প্রমাণ : তাখরিজে ইরাক্বী ২/৩৫, এহয়াউল উলুম ২/৩৬, তিরমিজি, আবু দাউদ, নাসাঈ, বোখারী]

0 comments:

Post a Comment