কিছু কিছু মানুষের ধারণা, বিবাহের ইজাব পেশ করার পর পাত্র যদি ‘কবুল’ শব্দ উচ্চারণ না করে তাহলে বিবাহ সহীহ হবে না। এ ধারণা ঠিক নয়।
আসল বিষয় হল সম্মতি জ্ঞাপন করা। এখন কবুল শব্দ ছাড়া যদি ‘আলহামদুলিল্লাহ আমি গ্রহণ করলাম’ বা এজাতীয় শব্দ উচ্চারণ করে তাহলেও সেটা সম্মতি বোঝাবে এবং বিবাহ সহীহ হবে আর এটা একবার বললেই যতেষ্ট।
মনে রাখবেন, নারীকে সৃষ্টি করা হয়নি পুরুষের মাথার অংশ থেকে, যেনো সে মর্যাদায় পুরুষকে ছাড়িয়ে না যায়।
পুরুষের পায়ের অঙ্গ থেকেও সৃষ্টি করা হয়নি তাকে, যেনো সে পুরুষের কাছে অবহেলার পাত্র না হয়।
নারীকে বের করা হয়েছে পুরুষের পাঁজর থেকে, যেনো সে থাকে তার বাহুর নীচে, হৃদয়ের কাছে।
যেনো পুরুষ তাকে ভালোবাসতে পারে এবং তার থেকে ভালোবাসা পেতেও পারে।
নারীর ভালোবাসা ও সহমর্মিতা এমন চমৎকার এক ঝরনার উৎসরণ ঘটাতে পারে, যার পরশ পেলে অনায়াসে গলে যাবে পুরুষের মস্তিষ্ক।
যেমন পানির গভীরতা পাথরকেও নরম করে ফেলে এবং গলিয়ে দেয়।
কেবল ভালোবাসার মাধ্যমেই জেগে উঠবে তার হৃদয়, তার বিবেক।
ঘুম ভাঙবে তার চেতনার। সচেতন হবে সেতার সম্পদ ও ভবিষ্যতের ভাবনায়।
(সুরা রা’দ : ৩৮)
“হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর।”
-সূরা ফুরক্কান : ৭৪
-সূরা ফুরক্কান : ৭৪
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন-
যে লোকের স্ত্রী নেই সে লোক মিসকীন,
তখন সাহাবীগণ বল্লেন- সে যদি মালদার হয়?
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বললেন, তখনও সে মিসকীন ।
-জামউল ফাওয়ায়িদ, বিবাহ অধ্যায়,খন্ড : ১, পৃষ্টা : ১২১ ।
আল্লাহ পাক কুরআনে বলেছেন,
তোমরা বিয়ে করো যাদের তোমাদের ভালো লাগে।
(সূরা মায়িদা : ৪)
এর অর্থ হলো,
বিয়ে-ইচ্ছুক ব্যক্তি যেন তার ভালোলাগা বৈধ নারীকে বিয়ে করে।
(তাফসিরে আর-রাজি : ৯১৭১)
(তাফসিরে আর-রাজি : ৯১৭১)
আল্লাহ্ তায়ালা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে এমন পবিত্র সম্পর্ক দান করেছেন যে,
মানুষ এর থেকে বেশী প্রশান্তি অন্যকিছুতে পেতে পারে না।
”একজন পুরুষের সাথে দ্বীনদার স্ত্রী হলো রাজার মাথায় স্বর্ণখচিত মুকুটের মতন,
অন্যদিকে একজন পুরুষের সাথে খারাপ স্ত্রী হলো বৃদ্ধ ব্যক্তির মাথায় চাপানো ভারী বোঝার মতন।”
পুরুষের জীবনে স্ত্রীর মতো পরমবন্ধু আর কেহ হতে পারে না।
আল্লাহর রাসূল সা: বলেন, ‘সতী স্ত্রী এক সৌভাগ্যের সম্পদ; যাকে তুমি দেখে পছন্দ করো এবং যে তোমার মন মুগ্ধ করে,
আর তোমার অবর্তমানে তার ব্যাপারে ও তোমার সম্পদের ব্যাপারে সুনিশ্চিত থাকে।
পক্ষান্তরে অসতী স্ত্রী দুর্ভাগ্যের আপদ; যাকে দেখে তুমি অপছন্দ করো এবং যে তোমার মন মুগ্ধ করতে পারে না।
যে তোমার ওপর মানুষের হামলা চালায়।
আর তোমার অনুপস্থিতিতে তার ও তোমার সম্পদের ব্যাপারে সুনিশ্চিত হতে পারে না।’
তোমাদের রমণীদের মাঝে সেই উওম, যাকে দেখে স্বামীর মন আনন্দে ভরে উঠে,
তাকে কোন আদেশ করলে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে তা পালন করে।
আর স্বামীর অনুপস্হিতিতে আপন সম্ভ্রম ও স্বামীর সম্পদ রক্ষা করে।
(আবু দাউদ)
যদি কোনো স্ত্রী এমতাবস্থায় মারা যায় যে তার স্বামী তার উপর সন্তুষ্ট, তা হলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। -তিরমিজি : ১১৬১
0 comments:
Post a Comment