Friday, November 20, 2015

`তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি উত্তম যে স্ত্রীদের কাছে উত্তম`

`তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি উত্তম যে স্ত্রীদের কাছে উত্তম`
মাহফুজ আবেদ

বিয়ে হচ্ছে এমন একটি সম্পর্ক- যা স্বামী-স্ত্রী উভয়ের পারস্পরিক অধিকারের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ কারণে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের এটা অবশ্য কর্তব্য যে, তারা সৌহার্দ্যপূর্ণ জীবনযাপন করবে এবং কোনো প্রকার মানসিক অসন্তুষ্টি ও দ্বিধা বাতিরেকেই তাদের যা কিছু আছে একে অন্যের জন্য অকাতরে ব্যয় করবে!
এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেছেন,
আর তোমরা তাদের (স্ত্রীদের) সঙ্গে উত্তম ব্যবহার কর।’ -সূরা আন নিসা: ১৯

তাইতো স্ত্রীর কাছে উত্তম ব্যক্তিকে ইসলাম উত্তম মানুষ বলে ঘোষণা করেছে। এ প্রসঙ্গে এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে,
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত নবী করিম (সা.) বলেন,
'মোমিনদের মধ্যে পরিপূর্ণ মোমিন ওই ব্যক্তি, যার ব্যবহার ও চরিত্র সর্বাপেক্ষা উত্তম। আর তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি উত্তম যে স্ত্রীদের কাছে উত্তম।’ -তিরমিজি

ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে বিয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পক্ষ থেকে জারিকৃত একটি সুন্নত বিশেষ। তবে শর্ত হলো, বিয়েকারীর সামর্থ্য থাকতে হবে। স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মধ্যে কতগুলো অবশ্য পালনীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে, যেগুলো বাস্তবায়িত করা উভয়ের প্রতি অপরিহার্য কর্তব্য।

হজরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন,
'হে যুবক সম্প্রদায় তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে সে যেন বিয়ে করে। কেননা তা চক্ষুকে নিম্নগামী রাখে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে। আর যে সামর্থ্য রাখে না সে যেন রোজা রাখে। রোজা হলো খোজা হওয়ার শামিল।’ –সহিহ বোখারি ও মুসলিম

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন,
'সাবধান! তোমাদের প্রতি তোমাদের স্ত্রীদের যেমন অধিকার রয়েছে এবং তোমাদেরও স্ত্রীদের প্রতি তদ্রূপ অধিকার রয়েছে। তারা যেন তোমাদের শয্যাস্থানে এমন লোককে স্থান না দেয় যাদের তোমরা অপছন্দ করো এবং তারা যেন তোমাদের ঘরে এমন লোককে প্রবেশের অনুমতি না দেয়, যাদের তোমরা প্রবেশ করতে অপছন্দ করো।'

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত,
হজরত রাসূলে পাক (সা.) বলেন,
'কারও যদি দুইজন স্ত্রী থাকে এবং সে উভয়ের সঙ্গে ন্যায়বিচার না করে, তাহলে কেয়ামতের দিন সে বিকলাঙ্গ অবস্থায় হাজির হবে।' –তিরমিজি

হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত,
আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেন,
'নারী যদি যথারীতি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রমজানের রোজা পালন করে, তার লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে এবং স্বামীর আনুগত্য করে, সে বেহেশতের যে কোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।'

মহান আল্লাহতায়ালা সবাইকে স্বামী-স্ত্রীর অধিকারগুলো সঠিকভাবে পালন করার তওফিক দান করুন। আমিন।

0 comments:

Post a Comment