প্রশ্নঃ
একজন নারীর জন্য
একই সময়ে
তিন বা
চারজন পুরুষকে
বিয়ে করা
নাজায়েয কেন?
অথচ একজন
পুরুষ তিন
বা চারজন
নারীকে বিয়ে
করতে পারে।
উত্তরঃ
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর
জন্য।
এ
বিষয়টি আল্লাহর
প্রতি ঈমানের
সাথে সম্পৃক্ত। পৃথিবীর
সকল ধর্মমতে-
কোন নারীর
জন্য স্বামী
ছাড়া অন্য
কারো সাথে
যৌন মিলনে
লিপ্ত হওয়া
জায়েয নেই। এই
ধর্মগুলোর মধ্যে কোন কোনটি আসমানী
ধর্ম; যেমন-
ইসলাম ধর্ম,
অবিকৃত ইহুদি
ও খ্রিস্টান
ধর্ম।
আল্লাহর প্রতি
ঈমানের দাবী
হচ্ছে- তাঁর
বিধিবিধান ও শরিয়তকে মেনে নেওয়া। কারণ
আল্লাহ তাআলা
ভাল জানেন
কোনটি মানুষের
জন্য কল্যাণকর। কোন
কোন শরয়ি
হুকুমের রহস্য
আমরা বুঝতে
পারি।
আবার কোন
কোন শরয়ি
হুকুমের রহস্য
আমরা বুঝতে
পারি না।
পুরুষের জন্য
একাধিক স্ত্রী
গ্রহণ জায়েয
হওয়া এবং
নারীর জন্য
একাধিক স্বামী
গ্রহণ নাজায়েয
হওয়ার বেশ
কিছু কারণ
জ্ঞানবান সকলেই
জানেন।
আল্লাহ তাআলা
নারীকে গর্ভ
ধারণের জন্য
সৃষ্টি করেছেন। পুরুষ
গর্ভধারণ করে
না।
সুতরাং কোন
নারী যদি
(একাধিক পুরুষের
সহবাসের পর)
গর্ভধারণ করে
তাহলে সন্তানের
পিতৃ পরিচয়
জানা যাবে
না।
এতে করে
বংশধারায় তালগোল
লেগে যাবে,
পরিবারগুলো ভেঙ্গে পড়বে, শিশুরা বাস্তুহারা
হয়ে পড়বে
এবং নারী
তার সন্তানাদি
লালনপালন ও
ভরণপোষণের ভার বইতে না পেরে
ভেঙ্গে পড়বে। এভাবে
এক পর্যায়ে
নারীরা স্থায়ী
বন্ধ্যাত্বও গ্রহণ করতে পারে।
যার ফলে
মানব বংশ
বিলীন হয়ে
যাবে।
এছাড়া আধুনিক
চিকিৎসা বিজ্ঞানে
সাব্যস্ত হয়েছে,
এইডসের মত
দুরারোগ্য ব্যাধিগুলোর প্রধান কারণ হচ্ছে-
কোন নারীর
একাধিক পুরুষের
সাথে মিলিত
হওয়া।
নারীর গর্ভাশয়ে
বহু রকমের
বীর্য একত্রিত
হওয়ার ফলে
এ ধরনের
দুরারোগ্য রোগের কারণ ঘটে।
এ কারণেই
তো আল্লাহ
তাআলা তালাক
প্রাপ্ত নারী
বা যে
নারীর স্বামী
মারা গিয়েছে
তার উপর
ইদ্দত পালন
করা ফরজ
করেছেন।
যাতে করে
কিছুকাল এভাবে
(সঙ্গমহীন) থাকার মাধ্যমে তার গর্ভাশয়
ও এর
আশপাশের স্থানগুলো
আগের স্বামীর
বীর্য ও
সঙ্গমের আলামত
থেকে সম্পূর্ণভাবে
মুক্ত হয়ে
যায়।
আশা করছি আলোচনা
লম্বা না
করে এতটুকু
ইশারাই যথেষ্ট। আর
যদি প্রশ্নের
উদ্দেশ্য হয়ে
থাকে বিশ্ববিদ্যালয়
বা তদূর্ধ্ব
পর্যায়ের কোন
গবেষণা তাহলে
প্রশ্নকর্তার উচিত একাধিক স্ত্রী গ্রহণ
ও এর
রহস্য বিষয়ে
রচিত গ্রন্থগুলো
অধ্যয়ন করা। আল্লাহই
তাওফিক দাতা।
http://islamqa.info/bn/10009
0 comments:
Post a Comment